রাজধানীর বাজারে কমেছে মাংস ও মাছের দাম। দাম কমেছে মুরগি ও ডিমের বাজারেও। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার, বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে গরুর মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি। তবে কিছু কিছু দোকানে দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা। দাম কমে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর প্রতিকেজি বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।
কেজিতে পাঁচ টাকা কমে এসব বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। আর ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। তবে দেশি মুরগির দর কমেছে ৫০ টাকা। ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া ছোট আকারের রোস্টের মুরগি প্রতি চার পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।
ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় অন্যান্য মাছের দাম কমেছে। প্রায় সব ধরনের মাছেরই কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা দাম কমেছে। চার কেজির বেশি ওজনের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়। চার কেজির কম ওজনের রুই মাছের দাম ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা।
বড় আকারের কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজিতে। আর ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। এক কেজি ওজনের ইলিশ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। আর ১২ থেকে ১৬শ’ গ্রামের ইলিশের কেজি ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। ২ কেজির বেশি ওজনের ইলিশ বিকোচ্ছে ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা দরে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মালিবাগ রেলগেট বাজার ও খিলগাঁও কাঁচাবাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমে দাম কমেছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। ১০ টাকা কমে দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।
অন্যদিকে, রাজধানীতে চালের বাজার স্থিতিশীল, বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।কারওয়ানবাজারে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজিতে। নাজিরশাইলের দাম মানভেদে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা এবং বিআর ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়।